ছবি : সংগৃহীত
ঝালকাঠির নলছিটিতে ঠাকুমার সঙ্গে সুগন্ধা নদীতে স্নানে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র আদিত্য চক্রবর্ত্তী (০৮) স্রোতে ভেসে যায়। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পার হলেও এখনো তার খোঁজ মেলেনি।
গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় পৌর এলাকার কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্দা নদীর তীরে গোসল করতে গিয়ে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ আদিত্য চক্রবর্তী নলছিটি পৌর এলাকার আদর স্টুডিও'র ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে। সে পৌরসভার বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।
নিখোঁজের দিন থেকে একযোগে নলছিটি ফায়ার সার্ভিস, বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল, কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল খোঁজাখুঁজি করেও ডুবে যাওয়া আদিত্যের সন্ধান করতে পারেনি। বর্তমানে স্থানীয়রা বেশকয়েকটি ট্রলার নিয়ে মাইকিং করে সুগন্ধা নদীতে খোঁজাখুঁজি করছেন। স্থানীয়দের ধারণা ডুবেযাওয়া আদিত্যের দেহ হয়তো ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন <> শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম
শনিবার সকালে পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে স্নানের জন্য নদীর তীরে আসে। এসময় তার ঠাকুমা স্নানে ব্যস্ত থাকায় পা পিছলে আদিত্য নদীতে পরে যায়। ঠাকুমা তাকে ধরার চেষ্টা করলেও রাখতে পারেননি নদীর স্রোত তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, নদীর এই অংশের গভীরতা অনেক বেশি। তবে তীর থেকে সেটি বোঝার উপায় নেই। দেখলে মনে হবে চর গেগে আছে। এখানে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি, যার কারণেই ছেলেটি স্রোতের টানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
অদিত্য চক্রবর্তীর বাবা শিমুল চক্রবর্তী বলেন, শনিবার আমার স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে গঙ্গা পূজা করতে নদীতে নামে আমার ছেলে। হঠাৎ করে আমার ছেলে নিচে তলিয়ে যায়। অদিত্য প্রায়ই নদীতে গোসল করে। কখনো এমন হয়নি।
নলছিটি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল যোগ দিয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী বলেন, ডুবুরি দলের সঙ্গে পুলিশের একটি টিম সেখানে কাজ করছে। ডুবুরিদল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।