ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে কিছুদিন ধরে। এতে হতাহত হচ্ছেন স্থানীয় অনেকেই। প্রতিদিন বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে আসছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গত কয়েকদিন আসা বন্ধ থাকলেও হঠাৎ পালিয়ে আসার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এরমধ্যে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আশ্রয়ের আশায় বাংলাদেশে ঢুকল মিয়ানমারের ১৬ সীমান্তরক্ষী।
গত তিন দিনে ৩২ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সেনা সদস্য অনুপ্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৮ বিজিপি অনুপ্রবেশ করেন। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৪ বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। এসব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এদিন সকাল ১০টার দিকে ঘুমধুমের রেজু আমতলী সীমান্ত দিয়ে দু’জন বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। বর্তমানে ঘুমধুম বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ির আছাড়তলী সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি এপারে অনুপ্রবেশ করেন। পরে টেকনাফের ঝিমনখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চারজন বিজিপি পালিয়ে আসেন।
এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ১৫ দিন পর কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাট দিয়ে সাগরপথে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।