ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি। তাদের নিয়ে গভীর সাগরে অবস্থান করছিল দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘নেভাল শিপ চিন ডুইন’ নামের একটি জাহাজ। সেখান থেকে এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে আসে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায় জাহাজটি।
এর আগে, এদিন বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়। এর পরপরই তারা ঘাট থেকে গাড়ি যোগে রওয়ানা হয়েছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য। যে সদস্যদের গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মিয়ানমার ফেরত যাবেন প্রতিনিধি দলটি।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছায়। যারা মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার; ৩০ জন বান্দরবানের; সাতজন রাঙ্গামাটির; খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভিড় করছেন স্বজনরা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব-স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি করা হবে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র বলছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের ফেরাতে ‘মিয়ানমার নেভাল শিপ চিন ডুইন’ ১৭৩ বাংলাদেশিদের বহন করে মঙ্গলবারই যাত্রা করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা করে বাংলাদেশে ফেরত আনা হচ্ছে।
মূলত মিয়ানমারের জাহাজটি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালেই তাদের সেনা বাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।