ছবি : আপন দেশ
আবহমানকাল ধরে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এ সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে। সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয় এ বিষয়ে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বলেছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ বিভাগের পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলনে এসব কথা বলে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা। যেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার। এরূপ অভিপ্রায় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।
আরও পড়ুন <> রাজবাড়ীতে পানি মিলছে না
সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সকল ধর্মের মানুষের কাছেই তাদের নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে, সম্মান করে। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হয়। তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলে। এ শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাদেরকে আরেকটু শাণিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি রিটার্ন পেতে পারে।
পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন আপনাদের কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হবে। এছাড়া, ভাতাপ্রাপ্ত পুরোহিত ও সেবাইতরা কীভাবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সেই সাফল্যগাঁথাও সবাই জানতে পারবে।
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, রেঞ্জ ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন।
আপন দেশ/এমআর/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।