ফাইল ছবি
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি আবারো আলোচনায়। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছেন তিনি; এমন অভিযোগ মিলেছে।
উপজেলা নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বদি এমনটি করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই টেকনাফ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন নুরুল আলম।
বদি একই আসনের সংসদ সদস্য শাহীন আকতারের স্বামী। স্থানীয় লোকজন জানান, সংসদ সদস্য পদ হারিয়ে দীর্ঘদিন অনেকটা নীরব থাকার পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে আবির্ভূত হয়েছেন বদি। এর আগে কর্মকর্তাকে প্রহারসহ নানা ঘটনায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
তৃতীয় ধাপে টেকনাফ উপজেলায় নির্বাচন হবে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম এবারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। ২ মে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বদির পছন্দের প্রার্থী জাফর আলম। গত উপজেলা নির্বাচনে জাফর আলমকে হারিয়ে নুরুল আলম চেয়ারম্যান হন।
আরও পড়ুন <> তাপদাহে ঈশ্বরদীতে লিচুর গুটি শুকিয়ে যাচ্ছে
শুক্রবার উপজেলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে নুরুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান তিনি। হঠাৎ বদি সংসদ সদস্য শাহীন আকতারের স্টিকারযুক্ত গাড়ি নিয়ে এসে তাকে লক্ষ্য করে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করেন। গুলি তার গায়ে লাগেনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তিনি নিরাপদে ফিরে আসেন।
নুরুল আলম অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফরের পক্ষ হয়ে বদি সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে প্রচারণার পাশাপাশি বিভিন্ন পথসভায় আমাকে ও আমার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘রাতে ছাত্র ও যুবলীগের জরুরি বৈঠক ছিল। ফেরার সময় বদি ও জাফর দলবল নিয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে গুলিবর্ষণ করেন।’
এ প্রসঙ্গে বদি বলেন, ‘আমি কেন আলমকে গুলি করতে যাব। সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল, হয়তো কে বা কারা পরপর দুটি আতশবাজি ফাটিয়েছে। আমরা সেখানে গিয়েছি, রবি আলম নামের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে। আমি ও জাফর ঘটনাস্থলে গিয়ে রবি আলমকে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করি। জাফর চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে রবি নির্বাচন করছেন।’ চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমও দাবি করেন, পটকার শব্দ পাওয়া গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জিডি হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।