ছবি: সংগৃহীত
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী। একইসঙ্গে নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের ভাতিজা।
শনিবার (৪ মে) সকালে তাকে শোকজ নোটিশ দেয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
নোটিশে বলা হয়, আগামী ৮ মে ডিমলা উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নীলফামারী-১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের ছবিসহ ব্যানার টাঙিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বলে ভোট প্রার্থনা করছেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৮ এর (৫) অনুযায়ী নির্বাচনি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন>> ‘মাথায় এমপির হাত আছে, নরমাল ভোটে জয় না হলে সিজার করা হবে’
আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা পত্র প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজ বলেন, কাগজ হাতে পাইনি তবে মোবাইলের মাধ্যমে নোটিসটি দেখেছি। কাগজটি হাতে পেলে জবাব দিয়ে আসব।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই প্রার্থীর একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা আমরা অবগত আছি, তবে ওটা নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি। আর ওই প্রার্থী ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নীলফামারী-১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিনের ছবি ব্যবহার করে ভোট প্রার্থনা করায় কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। উনি কিছুক্ষণের মধ্যে নোটিসটি পেয়ে যাবেন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।