ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজার থানার মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনের ঘটনা এটি।
সংঘর্ষে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের ১২ জন ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করছে। এরমধ্যে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস ৪র্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (২য় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস ৩য় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস ২য় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস ২য় বর্ষ), রিমনও অন্তর (এইচএসসি ২য় বর্ষ) আহত হয়েছে। বিপরীতে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন নামে আরও দুজন আহত হয়।
মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত ফিলিস্তিনের ইস্যুতে একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেই কর্মসূচির আলোকে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াই। তাৎক্ষণিক চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ ৯ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব।
হামলার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, কেন হামলা করছে সেটা তো বুঝতেছি না। তবে কয়েকদিন আগে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের একটা ছেলে কলেজে এসে মাদক সেবন করেছিল। পরে আমরা তাকে নিষেধ করেছিলাম। ওই ছেলেকে পুলিশ নিয়ে গেছে শুনেছি। ধারণা করা হচ্ছে সে ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজকে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রোগ্রামে আমরা সিআরবিতে যাচ্ছিলাম। পথে আমরা দুইটা টেম্পো ভাড়া করেছি। সেই দুইটাতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মহসিন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে। আমরা তাদের বলেছি এ টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি। তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এ টেম্পুই তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের ২ কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এঘটনায় আমরা মামলা করবো।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সারোয়ার বলেন, তেমন হতাহতের কিছু আমরা দেখিনি। তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।