ছবি: সংগৃহীত
হিন্দু পঞ্জিকার বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া। শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গঙ্গাস্নানে মিলিত হয়েছিল হাজারো পুন্যার্থী। আজ ভোর ৫ টা থেকে আহ্বানী, সমবেত প্রার্থনা, মঙ্গলঘাট স্থাপন, শ্রী শ্রী বিষ্ণু পূজা, গঙ্গা মায়ের পূজা দেন তারা। পরে গঙ্গাস্নানে মিলিত হয়। আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের অক্ষয় তৃতীয়াব্রতম সনাতন ধর্ম সম্মেলনের আয়োজন করে।
তাদের বিশ্বাস, এটি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। এ শুভদিনে বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম জন্ম নিয়েছিলেন, এ জন্য দিনটি পরশুরাম জয়ন্তী হিসেবেও পালন করা হয়। বেদব্যাস ও গণেশ এই দিনে মহাভারত রচনা আরম্ভ করেন। এদিনই সত্য যুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়। এদিনই রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
অনুষ্ঠানে কুয়াকাটা কলাপাড়া পৌর মেয়র শ্রী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী জয়দেব ঠাকুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরের সহধর্মিণী জগৎমাতা হরপ্রিয়া দেবী ও পরমপূজ্যপাদ ঋত্বিক মহারাজ ডা. রাধাস্বামী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বাগেরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ রায়, ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান, কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিহার রঞ্জন, ভক্ত প্রভাষক শ্রী সঞ্জয় মন্ডল, ভক্ত শ্রী শ্যামল চন্দ্র মালো, ভক্ত শ্রী গোবিন্দ দেবনাথ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জয়দেব ভক্তবৃন্দ।
প্রতিবছর দূর-দূরান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নানে আসেন। এ সময় হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এ সময় সৈকতে দেখা যায় অনেকেই স্নান শেষে পরিবার নিয়ে গীতা পাঠ করছেন, আবার কেউ প্রার্থনাসহ ধর্মীয় রীতি-নীতিতে মগ্ন হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ভীড় বেড়েছে, তাই আমরা বাড়তি নজরদারি রাখা য়। সাদা পোষাকেও আমাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
