ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালে লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাঁচ সদস্যের কমিটিতে নেতৃত্ব দেবেন ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকালে গাজীপুরে এ ঘটনার পর দুপুরে কমিটি করা হয়।
মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়া রোগীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে আছেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার প্রতিনিধি হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল মেডিসিন চিকিৎসক, ওয়ার্ড মাস্টার। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু
এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকা পড়েন রোগী মমতাজ বেগম (৫৩)। তার সঙ্গে ভাই, ছেলে-মেয়েও আটকা পড়েন। সেখানেই মারা যান মমতাজ বেগম। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।
রোগীর মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল ৬টায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে হাসপাতালের ১১তলা থেকে ৪তলার হৃদরোগ বিভাগে নেয়ার কথা বলে। লিফটে উঠলে ৯তলার মাঝামাঝি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, আমার মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিনজন লিফটম্যানের নম্বরে কল দেই। তারা গাফিলতি করেন। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪৫ মিনিট আমরা ভেতরে অবস্থান করেছি। উপায় না পেয়ে ৯৯৯–এ ফোন দেই। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।’
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।