ছবি: সংগৃহীত
পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছেন এক শিক্ষক। পরে স্থানীয়রা সুপারি গাছ বেঁধে গণধোলাই দেন তাকে। ওই শিক্ষকের নাম গোলাম রব্বানী বকুল (৫০)। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।
রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল।
তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।
পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বকুল ও তার ছোট ভাই মুকুলের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন>> বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণ, প্রেমিকা অন্তঃসত্তা
তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’
তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, ‘এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।