ছবি: সংগৃহীত
এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট। সোমবার (১৩ মে) রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট চালু করা হয়েছে। তবে সমস্যা রয়েই গেছে। গ্যাস সংকট নিয়ে চালু করা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বাকি ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বাড়লে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট রয়েছে। একটি ১০০ মেগাওয়াট ও অন্যটি ৫০ মেগাওয়াট। এর আগে, জেনারেটর বেয়ারিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেন্দ্রটির ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে ২০ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৪ মাস বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। চলতি বছরের ১০ মার্চ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট উৎপাদনে আসে। তবে ৫০ মেগাওয়াট ইউনিট তখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। মাত্র ২৫ দিন উৎপাদন শেষে ৫ এপ্রিল এ ইউনিটের একটি জেনারেটরের বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন>> বিদ্যুৎ সঙ্কটে পুরো দেশ ‘শাটডাউন’
এ সময় কর্তব্যরত প্রকৌশলী দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ইউনিটটি শাটডাউন করে দেয়। ২০ এপ্রিল আবারও জেনারেটর বেয়ারিংয়ে লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নূরুল আবছার জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু হলেও গ্যাস সংকট রয়েছে। গ্যাস সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়েছে। গ্যাস পেলে বাকি ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন শুরু হবে, যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।