ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার কাহালুতে আলুর হিমাগারে লাখ লাখ পিস ডিম মজুত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেট। ক্রেতারা বলছেন, ডিমের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও কয়েকদিনে হালিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে ডিমের দাম।
উপজেলার মুরইল মুনসুর ও আফরিন ক্লোল্ড স্টোরে বুধবার (১৫ মে) অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ক্লোল্ড স্টোরে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৮টি ডিম মজুত পাওয়া যায়। এ অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত হিমাগারটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
কাহালু ইউএনও ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা আফরোজ বলেন, ডিমের বাজার হঠাৎ অস্থির। উপজেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য ছিল, উপজেলায় আলু সংরক্ষণের আড়ালে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য হিমাগারে বিপুল পরিমাণ ডিম মজুত করা হয়েছে। মুরইল আফরিন কোল্ডস্টোরেজে অভিযানকালে আলুর সঙ্গে অবৈধভাবে মুরগির ডিম মজুত রাখার প্রমাণ মিলেছে।
এ সময় হিমাগারের মালিককে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মজুত করা ডিম সাত দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ লঙ্ঘন করে সংকট তৈরির জন্য এ বিপুল পরিমাণ ডিম মজুত করলে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মাদারীপুরে একটি হিমাগারে সাড়ে ছয় লাখ ডিম দীর্ঘদিন ধরে মজুত রাখায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুইদিনের মধ্যে মজুত ডিম বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সদরের পুরান বাজারের বিসিক শিল্প নগর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এগারসিন্দুর কোল্ডস্টোরে যেন ডিমের খনি। সেখানে মজুত রয়েছে অতি মুনাফালোভী মজুতদারদের ২৮ লাখ ডিম।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।