ফাইল ছবি
হামলা, অবরোধ ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দেয়। তবে ভোটগ্রহণ শেষ হতেই খবর আসে ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সফুর আলম (২৭)। তিনি টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেবের কর্মী। উপজেলার পশ্চিম পোকখালীর মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামে একজনকে আটকে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা। এ খবরে তাকে বাঁচাতে যান সফুর আলম। সেখানে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি।
দেলোয়ার জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীরা সমর্থকরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে আসে সফুর। সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে উদ্ধার করে বিকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন>> মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে জানলেন, তিনি ‘মৃত’
এ বিষয়ে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আবু তালেব বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম সকাল থেকে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেন। একপর্যায়ে আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেন। ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে আমার এক কর্মী ভোটারদের কাছ থেকে ভোট চাইলে শামসু আলমের স্বজনরা তার ওপর হামলা করেন। ছুরিকাঘাতও করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম বলেন, তারাই আমার ওপর হামলা করছে। তবে কীভাবে কি হয়েছে সেটি আমি জানি না।
ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।