নিশি বেগম ও হোসেন আলী। ছবি: সংগৃহীত
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো. হোসেন আলী (২০)। বিয়ে করেছেন প্রায় দুই মাস। পারিবারিকভাবেই সংসার পাতেন মোছা. নিশি বেগমের (২০) সঙ্গে। তবে কয়েকদিনের মাথায় সংসারে অশান্তি আসে। পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন ঘরের নতুন বউ। স্বামীর সঙ্গে সারাক্ষণ কলহে লেগেই থাকত। তার অবহেলা, অযত্নে দিন যায় হোসেনের।
বাকবিতণ্ডায় স্ত্রীর মারধরেও শিকার হন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সহ্য করে নেন সব। তবুও স্থির থাকেননি নিশি। হোসেনের ভিক্ষাবৃত্তির টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়ে যান। তবে এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি তার। থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করেছেন ভুক্তভোগী এ যুবক।
জিডি সূত্রে জানা যায়, হোসেন আলী ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার ভূগলী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। রাজধানীর মোহাম্মদ আদাবর এলাকায় থাকেন। এখানেই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। আর নিশি বেগম সাভারের জামগড়া কাজী অফিস (বটতলা) এলাকার সুরহাব আলীল মেয়ে।
আরও পড়ুন>> জিপিএ-৫ পেল দর্জির মেয়ে কারিমা, ভর্তি নিয়ে শঙ্কা
নিশির এর আগেও এক সংসার ছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ছাড়াছাড়ি হয়। ঠাঁই হয় বোনের বাড়িতে। পরে বোন ও দুলাভাইয়ের সূত্রে পরিচয় হয় হোসেন আলীর সঙ্গে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জেনেও বিয়ের পিড়িতে বসতে রাজি হন নিশি। গত ১৯ মে জমি বন্ধক রাখতে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে যান হোসেন-নিশি দম্পতি।
কিন্তু পরদিন বিকেল থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না নিশির। ঘরের আসবাবপত্র খুঁজে দেখা যয় নগদ ৫০ হাজার টাকা নেই। সে টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে নিশি। সম্ভাব্য সব জায়গায় যোগাযোগ করেন হোসেন। খোঁজ মেলেনি। দারস্থ হন পুলিশের।
ভুক্তভোগী হোসেন আলী বলেন, আমি দৃষ্টি প্রতিদ্বন্ধী জেনে-বুঝেই বিয়ে করতে রাজি হয় নিশি। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় মোবাইলে পর-পুরুষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে সে। চোখে দেখি না বলে সয়ে গেছি। তার কোন আবদার অপূর্ণ রাখিনি। তবুও আমার কষ্টের ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। তার পরকীয়ার বলি হয়েছি। আমি তার সন্ধান চাই। আমার কষ্টের জমানো টাকাগুলো ফেরত করতে চাই।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।