ছবি: সংগৃহীত
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে হিলিতে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হচ্ছে মহিষ। সপ্তাহখানেক পরেই বিক্রির জন্য তোলা হবে হাটে। লালনপালনের খরচ কম হওয়ায় জেলায় মহিষের খামারের সংখ্যা বাড়ছে। তবে লোকসান এড়াতে ভারতীয় মহিষ আমদানি ও চোরাই পথে আসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন খামারিরা।
১৩০০ কেজি ওজনের বুলডোজার আর ১১০০ কেজি ওজনের বিগবস। হিলির একটি খামারে কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা বিশালাকৃতির এ মহিষগুলোর একেকটির দাম হাঁকানো হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। কয়েক সপ্তাহ পরেই এগুলো তোলা হবে পশুর হাটে। তাই খামারে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
এবার প্রথমবারের মতো হিলিতে বাণিজ্যিকভাবে মহিষ পালন হচ্ছে। ঈদ ঘিরে খামারে বেড়েছে ব্যস্ততা। দিনে একটি মহিষ গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার খাবার খায়। অল্প খাবারে দ্রুত মাংস বৃদ্ধি হওয়ার কারণে খামারিদের কাছে মহিষ পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এবার গোখাদ্যের দাম বাড়ায় আশানুরূপ লাভ হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা।
আরও পড়ুন>> দিনে চা বিক্রি ৩০ হাজার টাকার
খামারিদের একজন বলেন, ‘কোরাবানি উপলক্ষ্যে মহিষ পালন করা হয়েছে আর ১০-১২ দিন পর আমরা মহিষ বিক্রি শুরু করবো’।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, এ বছর চাহিদার চেয়ে উপজেলায় সাড়ে ৭ হাজারের বেশি পশু রয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মহিষের সবচেয়ে সংক্রামক রোগ হচ্ছে গলা ফোলা রোগ। খামারিরা যেন বছরে একবার এ রোগের টিকা দিয়ে থাকে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
চলতি বছর হিলিতে কোরবানির জন্য সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে মহিষ প্রায় ২০০টি।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।