ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি। বনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১৫ হরিণ এবং একটি শূকরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, ৩৯ হরিণ এবং একটি শূকরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সুন্দরবন থেকে মোট ৫৬টি বন্য প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার করা হলো। মৃত বন্য প্রাণীগুলোকে কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর তলিয়েছে লবণাক্ত পানিতে।
আরও পড়ুন>> সুন্দরবনে কেন এত হরিণের মৃত্যু?
মিহির কুমার দো বলেন, উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহীনে চলে যাওয়ায় হরিণগুলো ভেসে গিয়ে সাঁতরে কূলে উঠতে পারেনি। এ কারণে হরিণগুলো মারা যেতে পারে বলে ধারণা। এ পর্যন্ত ৫৬টি বন্য প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫৪টি হরিণ এবং দুটি শূকরের। এছাড়া ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা করা হয়। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। আর মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রেমালের প্রভাবের দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এ জোয়ারের উচ্চতা ছিল ১০ থেকে ১২ ফুট। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে হবে।
আরও পড়ুন>> সুন্দরবন প্লাবিত, প্রাণীদের নিয়ে উদ্বেগ
বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মতো সুন্দরবনের বন্য প্রাণীরাও প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়। পানি তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তারা নিয়মিত দিনে দুবার জোয়ার–ভাটা দেখে অভ্যস্ত। শুধু দরকার সুন্দরবনের সুরক্ষা। তাহলেই যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, শিগগিরই উদ্ভিদ ও প্রাণীরা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।