চট্টগ্রামে অর্ধশত জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকার ৫০ জলদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। ১২ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। জলদস্যুদের পক্ষে ১১ জন তাদের অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে জমা দেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ এর এলিট হলে আত্মসমর্পণ করেন তারা।

এ সময় জলদস্যুরা ৩৫টি একনলা বন্দুক, ১৮টি এসবিবিএল, ১৭টি ওয়ান শুটার গান, একটি দুইনলা বন্দুক, একটি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি বিদেশি পিস্তল, একটি এসএমজি ও দুটি এয়ারগানসহ মোট ৯০টি অস্ত্র ও চারটি ওয়াকিটকি জমা দেয়। এছাড়াও গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়েছে ২৮৩ রাউন্ড। তারা বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করেছেন।

আত্মসমর্পণকারীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জলদস্যুরা যারা ফিরে আসছেন তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি, তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। শিগগিরিই আমরা বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা করবো।’

আরও পড়ুন>> সোমালিয়ায় জলদস্যু উত্থানে দায়ী কারা? 

তিনি বলেন, ‘জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। আমরা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে ১৬ বছরে পর্দাপন করছি। যেকোন মূল্যে সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন করবো। যেকোন মূল্যে এ অপরাধীদের কন্ট্রোলে আনবো। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তা ভাবনাও না করে, সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। ইতোপূর্বে সুন্দরবনে জলদস্যুদের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ ও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৭ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। এতে অন্যান্য জলদস্যুদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের জলদস্যুরা তাদের দস্যু জীবনের অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আব্দুল লতিফ, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম প্রমুখ।

আপন দেশ/এসএমএ