ছবি: আপন দেশ
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা জামালপুরকে পরিচ্ছন্ন এবং সবুজায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছি।
শুধু কথায় না কাজ করার চেষ্টা করছি।জামালপুরের সব নদ-নদী, খাল বিল দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করবো ইনশাল্লাহ। এ মন্তব্য করেছেন জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ৭টায় জামালপুর শহরের গবাখাল দখল ও দূষণমুক্ত এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জামালপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে গ্রিন জামালপুর, ক্লিন জামালপুর' প্রকল্পের আওতায় শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান। শেখের ভিটা থেকে মনিরাজপুর, জিয়া কলেজ, ফুলবাড়িয়া সিংড়ি বিল, স্লুুইস গেটসহ পাঁচটি স্থানে একযোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
১৯৬০/৬১ সালে জামালপর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, কৃষি আবাদের জন্য সেচ ব্যবস্থা এবং মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলার লক্ষে তৎকালিন মহকুমা প্রশাসন ও জামালপুর পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে খালটি খনন করা হয়। টাকার বিনিময়ে কাজ প্রকল্পের আওতায় খনন করা খালের দৈর্ঘ ১২ কিলোমিটা ও প্রস্থ ৩০ ফুট। শহরের শেখেরভিটা থেকে কেন্দুয়া কালিবাড়ি ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন ঝিনাই নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। খালটি কৃষকদের কাছে ছিল আশির্বাদ। কালের আবর্তে খালটি দখল, ভরাট এবং আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। ফলে বর্ষা মৌসুমে শহরের জলাবদ্ধতায় পৌরবাসীর ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় সদর আসনের সংসদ সদস্য খাল পরিচ্ছন্নতা ও দখলমুক্ত করার ডাক দেন। জেলা প্রশাসন ও জামালপুর পৌরসভার উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। তাতে অংশ নেন আবুল কালাম আজাদও।
উপজেলার অন্যান্য খাল মুক্ত করার অঙ্গিকার করেন তিনি। বলেন, শুধু গবাখাল নয় বংশ খাল, বানিয়াবাজার খালসহ সদর উপজেলার যত নদ-নদী, খাল, বিল, জলাশয় আছে আমরা সবগুলোই দখল ও দূষণমুক্ত করবো ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর 'দাবায়ে রাখতে পারবা না' এই উক্তির শক্তি নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ও সরাসরি পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন, জামালপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বিজন কুৃমার চন্দ, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম, জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিমসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা, পৌরসভার কাউন্সিলর, সরকারি, বেসরকারি সংস্থার কর্মী, স্থানীয় উদয়ন ক্লাব, যুগবাণী সামাজিক, সাংস্কৃতি সংস্থা, উন্নয়ন সংঘ এবং পৌরএলাকার শত শত মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা, বিশিষ্ট রাজনীতিক আমির উদ্দিন বলেন নিয়মিত তদারকী না থাকলে আজকের অভিযান লোকদেখানো হবে মাত্র। দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য এ ধরণের শুভ উদ্যোগের ধারবাহিকতা থাকলে সুন্দর একটি নগর গড়ে উঠবে। মানুষের বসবাসযোগ্য ও পরিবেশ সম্মত নগর প্রতিষ্ঠায় এমপি সাহেবের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।