Apan Desh | আপন দেশ

সিলেটে পানিবন্দি সাড়ে ছয় লাখ মানুষ

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ১ জুন ২০২৪

সিলেটে পানিবন্দি সাড়ে ছয় লাখ মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ আটটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন মানুষ। প্লাবিত হয়েছে সুরমা নদী তীরবর্তী সিলেট নগরীর নিম্নাঞ্চলও। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৪ হাজার পরিবার।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলার ১৩টি উপজেলায় বন্যা প্রস্তুতি হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৫৪৭টি। বন্যা কবলিত আট উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দেয় সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায়।

শুক্রবার নতুন করে প্লাবিত হয় সিলেট সদর উপজেলা। এদিন বিকেলে সরেজমিনে নগরীর তালতলা, যতরপুর, মাছিমপুর ও উপশহরের রাস্তাঘাটে পানি দেখা গেছে। ময়লা পানি মাড়িয়ে নগরবাসীকে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বেশি প্লাবিত হয়েছে উপশহরের কয়েকটি ব্লক।

জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে বেশি পানিবন্দি হয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়েছে। আর ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ২৪২ জন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছেন ৯৩ হাজার মানুষ। উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৩ জন মানুষ।

কানাইঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে নয়টি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন ৮০ হাজার ৬০০ মানুষ। ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন।

আরও পড়ুন>> ভারতের পানিতে ডুবেছে সিলেট

জৈন্তাপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। এ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৪৮টি। সেখানে ৬৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

জকিগঞ্জ উপজেলায় নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ জন। উপজেলার ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ১৯৮ জন।

বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে বন্যা হয়েছে; এখানে পানিবন্দি হয়েছেন ৫ হাজার ৫০০ মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭টি; আশ্রয় নিয়েছেন ৬০ জন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ মানুষ। উপজেলায় ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

নতুন করে প্লাবিত সিলেট সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন ১ হাজার ৬২০ জন। এই উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯টি; এখনও কেউ আশ্রয় নেয়নি।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়