ছবি: সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ছাতক উপজেলার অংশে বিপৎসীমা ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পাহাড়ি ঢলে বিশ্বম্ভপুর উপজেলার দুর্গাপুর ও শক্তিয়ারখলার মূল সড়কে পানি উঠে গেছে। ফলে জেলার সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার মানুষ।
বিশ্বম্ভপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তওফিক মিয়া জানান, গত রাত থেকে শক্তিয়ারখলা সড়কে পানি উঠে গেছে। প্রতি বছর এই সড়ক পাহাড়ি ঢলে পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে মানুষের কষ্টের শেষ থাকে না ১০ টাকার গাড়ি ভাড়া ৫০ টাকা লাগে।
দুর্গাপুর গ্রামের আহসান মিয়া বলেন, ‘বাড়ির ভিটা সমান পানি চলে এসেছে। আজকে রাতে বৃষ্টি হলে বসত ঘরে পানি উঠে যাবে। প্রতি বছর বন্যায় ঘরে পানি উঠে যায়, হাতে কাজ থাকে না, ঘরে খাবার থাকে না, পরিবার সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে খুব বিপদে থাকি।’
তবে সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্যমতে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বিশ্বম্ভপুর, সুনামগঞ্জ সদর, ধর্মপাশা, ছাতক ও দোয়ারাবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পাউবো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত না হলেও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে নদীর পানি হাওরে গিয়ে হাওরেও পানি বেড়েছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো মামুন হাওলাদার জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টায় জেলায় পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে এখন বর্ষা মৌসুম তাই স্বাভাবিকভাবেই নদী হাওরে পানি বাড়ছে। তবে সিলেটের মতো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ নেই। সিলেটে উজানে বন্যার পানি নামার জায়গা নেই কিন্তু সুনামগঞ্জে হাওর থাকায় সেই পানি হাওরে প্রবেশ করছে। বড় ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।