Apan Desh | আপন দেশ

সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল বন্ধ, খাদ্য সংকটের আশঙ্কা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ১০ জুন ২০২৪

আপডেট: ১২:৪৯, ১০ জুন ২০২৪

সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল বন্ধ, খাদ্য সংকটের আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচল করা ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে মিয়ানমারের থেকে বারবার গুলি ছুঁড়া হচ্ছে। ফলে এ রুটে তিনদিন ধরে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিনের সঙ্গে স্থলভাগের যোগাযোগও বন্ধ। এতে দ্বীপের বাসিন্দারা খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকটে পড়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, তিন দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ। যাতায়াত নিয়ে সমস্যা হচ্ছে অনেক। অনেকেই সেন্টমার্টিনে আসতে পারছে না। আবার এখান থেকে যেতেও পারছে না। কিছুটা খাবার নিয়ে কষ্টে আছে। তবে এখনো খাবার সংকট তৈরি হয়নি। সংকট হতে পারে সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে খাবার সংকটও তৈরি হতে পারে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের চলাচলকারী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, তিনদিন ধরে বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমার থেকে আমার বোটেও গুলি করা হয়েছে। এর আগের দিনও গুলি করেছে আরেকটি ট্রলারে। লোকজন পারাপার হতে পারছে না। সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে খাদ্য, মালামাল এবং মানুষ পারাপারের জন্য তিনটা ট্রলার আসে, তিনটা চলে যায়। আর অন্যান্য মালামাল আনা-নেয়ার জন্য কিছু ট্রলার চলাচল করে। গতকালও দুইটা ট্রলার যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, তবে টেকনাফ মোহনায় গুলি করলে আবারো সেন্টমার্টিনে ফেরত আসে ট্রলারগুলো।

গুলি আতঙ্কে যোগাযোগ বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে নাফ নদীর মোহনায় সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়। এর আগেও ট্রলার লক্ষ্য করে বারবার গুলি ছুঁড়ে মিয়ানমারের ওপার থেকে। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তির কারণে আতঙ্কিত হয়ে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেয়া এপার থেকে করতে হয়। যেহেতু মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি করা হচ্ছে এ কারণে আমরা সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প নিয়ে ভাবছি। নাফ নদীর মোহনায় যেহেতু এ ঘটনা ঘটছে তাই নাফকে এড়িয়ে বিকল্প কীভাবে তাদের খাদ্যসামগ্রী, যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায়, এসব নিয়ে ভাবছি।

গুলি করা করছে সেটি বুঝা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গুলি ছুঁড়া হচ্ছে। কিন্তু কারা গুলি করছে বুঝতে পারছি না। যেহেতু ওপারে যুদ্ধ চলছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে জানিয়েছি। স্থানীয়ভাবেও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়