ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে রোগীবাহী একটি স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে ফের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় শাহপরীর দ্বীপ ঘোলাচর এলাকার বাংলাদেশের জলসীমায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৬ দিন ধরে এ রুটে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ। এর মধ্যে আজ সকালে এক রোগী চিকিৎসা শেষে সেন্টমার্টিন ফিরছিল। স্পিডবোটে ৭ যাত্রী ছিল। টেকনাফ ঘাট ছেড়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছালে ওই নৌপথে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়া হয়। পরে তারা আবার ঘাটে ফিরে এসে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছায়।
এ বিষয়ে স্পিডবোটের যাত্রী গ্রামপুলিশ শাহীন বলেন, আমরা রোগীবাহী স্পিডবোটে করে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছিলাম। বঙ্গোপসাগরে পৌঁছা মাত্র আমাদের ওপর মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি করা হয়। বন্দুকধারীরা গুলি করতে করতে মিয়ানমার থেকে নৌকাযোগে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন>> সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার মানুষ ‘বড় বিপদে’
তিনি আরও জানান, স্পিডবোটটি লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আমরা প্রাণ বাঁচাতে স্পিডবোটটি ঘুরিয়ে তীরে ফিরে আসি। পরে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছাই। যাত্রীরা সবাই উদ্বেগে রয়েছেন।
এদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে টেকনাফ কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্নভাবে শোনা যাচ্ছে। তবে বিস্তারিত জেনে পরে বলতে পারবো।’
উল্লেখ্য, সেন্টমার্টিন নৌপথে গত ৫ জুন থেকে একাধিকবার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উদ্বেগ ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।