Apan Desh | আপন দেশ

সুনামগঞ্জে বন্যা, একেরপরএক ডুবছে সড়ক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ১৮ জুন ২০২৪

সুনামগঞ্জে বন্যা, একেরপরএক ডুবছে সড়ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারি বৃষ্টিপাতে আবার সুরমা নদীর পানি বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সোমবার সারা রাতের বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর রাত থেকে সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে সুনামগঞ্জ শহরে ফের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ পরিবার এরইমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। বসতভিটায় পানি ওঠায় বাধ্য হয়ে সোমবার রাত থেকে পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত পশু নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে শ্রমজীবী মানুষগুলো। গ্রামীণ সড়ক একের পর এক ডুবছে। জেলার ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোত যাচ্ছে। এছাড়া, সোমবার থেকেই প্লাবিত আছে জেলার ১০ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। ভোগান্তিতে আছে দুই লাখের বেশি মানুষ। 

জেলার সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ, ধর্মপাশা, দিরাই, জগন্নাথপুর, ছাতক, দিরাই, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পনিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। এ ১০ উপজেলার শতাধিক গ্রামের বসতভিটায় পানি আসায় মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।

শান্তিগঞ্জ বাসীন্দারা বলেন, ২২-এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। কী হবে এখনো ভেবে পাচ্ছিনা।

ছাতক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সঙ্গে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতকের নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।

নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে চারদিকে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়