শান্তা আক্তার
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অবস্থান করেছিল শান্তা আক্তার। প্রেমিক পলায়ন করেছিল। তবে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিল প্রেমিকের মা হবু শাশুড়ি। কিন্তু তা ছিল ছলনা। তাই দিশকুল না পেয়ে প্রেমিকের ঘরেই ফাসিতে ঝুলে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে এক সন্তানের জননী শান্তা।
এ ঘটনা শনিবার (২২ জুন) সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে। টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার খালুয়াবাড়ি গ্রামের। প্রেমিক সোহাগ (২৪) ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
আত্মহত্যার ঘটনার পর এ ঘটনায় প্রেমিক সোহাগের মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। কালিহাতী থানার এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ এ তথ্য জানিয়েছেন।
মৃত শান্তা আক্তার কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। তার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
আরও পড়ুন<<>> টিকটকারের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অবস্থান
জানা গেছে, এক বছর আগে মোবাইলে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পর থেকে তাদের দু’জনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে পরক্রিয়া প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা তালবাহানা শুরু করেন সোহাগ। এছাড়াও তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছেন।
বিষয়টি স্থানীয় মাতবর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি শান্তা আক্তার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। একপর্যায়ে দুঃখ ও ক্ষোভে শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে প্রেমিক সোহাগের টিনেসড বাড়ির একটি ঘরে প্রবেশ করেন শান্তা। পরে অভিমানী শান্তা ওই ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
কালিহাতী থানার এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনদের জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।