ছবি: সংগৃহীত
পাবনার ঈশ্বরদীতে স্কুলছাত্র তপু হত্যায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও নিহতের মোবাইল। গ্রেফতার জয়নাল আবেদিন জয় (২০) আতাইকুলা থানার দুবলিয়া গ্রামের জিয়ার ছেলে, ঈসা খালাসি (১৯) ঈশ্বরদীর মাশুড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা। আরেক আসামি সোহেল এখনো পলাতক।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
তিনি জানান, গত ১৫ জুন মাদকের টাকা জোগাতে স্কুলছাত্র তপুকে অপহরণ করেন আসামিরা। পরে ফোন করে মুক্তিপণ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। তৎক্ষণাৎ সাত হাজার ১০০ টাকা পাঠায় তপুর বাবা। কথা হয় তখনই তাকে ছেড়ে দেবে। কিন্তু ঘটনার একদিন পার হলেও তপু ফেরেনি। বিধায় ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তার মা।
পরে ২২ জুন ঈশ্বরদীর মাশুড়িয়া পাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জয়নাল আবেদিন জয়ের রুমে টিনের বাক্সে অর্ধগলিত ছিল। জয় ওই ছাত্রাবাসের প্রধান। পরে পাবনা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হন। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জয়। তার দেয়া তথ্যে আরেক আসামি ঈসা খালাসিও গ্রেফতার হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় জয় আগে থেকেই জড়িত। তারা বিপদগ্রস্ত এবং মাদকাসক্ত। মেস খরচ ও মাদকের টাকা জোগার করতেই তপুকে অপহরণ করে। পরে হত্যা করে। তপুর বাড়ি জয়ের ছাত্রাবাসের পাশে হওয়ায় তাদের পরিচয় ছিল। একসঙ্গে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতো এবং ধূমপান করতো।
তিনি জানান, ১৫ জুন চুরি করা একটি মোবাইল থেকে ফোন করে তপুকে মেসে ডেকে নেয় জয়। এরপর তার সহযোগী সোহেল ও ঈসার সহযোগিতায় তাকে জিম্মি করে। তপুর চিৎকারে জানাজানি হবার ভয়ে ঈসা চাকু দিয়ে হত্যা করে। পরে জয়ের বেল্ট দিয়ে হাত-পা বেঁধে তপুর মরদেহ টিনের বাক্সে ভরে রাঁখা হয়। তপুর মোবাইল থেকে তার বাবাকে কল করে টাকা দাবি করে।
আপন দেশ/এনআর/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।