Apan Desh | আপন দেশ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২৫ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৭:০৬, ২৫ জুন ২০২৪

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

ছবি : সংগৃহীত

আইসক্রিম ছোট বড় সবার কাছে লোভনীয় একটি মুখরোচক খাবার। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব শ্রেণির মানুষের প্রান জুড়ায় অনন্য স্বাদের আইসক্রিম। শিশুদের কাছে এটি একটি অতি জনপ্রিয় খাবার।

কিন্তু বিএসটিআর অনুমোদন ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে বিভিন্ন আইসক্রিম, আইসবার ফ্যাক্টরি। ঠিক তেমনি বি এস টি আই এর অনুমোদন বিহীন কদর আলী ফ্যাক্টরী নামে নিম্নমানের একটি আইসক্রীম কারখানা গড়ে উঠেছে সাতক্ষীরার ছয়ঘোরিয়া মোড়ে।

প্রায় ৩ বছর ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ এই কারখানায় আইসক্রিম তৈরিতে  নোংরা পানির সঙ্গে ঘনচিনি, নিম্নমানের আটা-ময়দা, সেকারিন ও বিভিন্ন কালারের রঙ মিশিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম। এ কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত আইসক্রিম খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুসহ সাধারন সকল বয়সের মানুষ। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের আধারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম ও আইসবার তৈরি করা হয় এ ফ্যাক্টরিতে। সারাদিন বন্ধ থাকলেও রাতের আঁধারে আইসক্রিম ও আইস বার তৈরির এই কার্যক্রম অনেকটাই গোপনে করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়া পুকুরের নোংরা পানি ও কলের পানি মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খালি গায়ে আইসক্রিম ও আইস বার তৈরি করেন এ ফ্যাক্টরির কর্মচারীরা। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে এ আইসক্রিম কারখানাটি।

সাতক্ষীরা যশোর মহাসড়কের ছয়ঘোরিয়া এলাকায় দেখা যায়, দেশের অভিজাত বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে দীর্র্ঘদিন ধরে নিন্ম মানের আইসক্রিম তৈরী করে সাতক্ষীরার সর্বত্র বাজারজাত করছে এ কারখানাটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কোন নজরদারি না থাকায় অবৈধ এ আইসক্রিম কারখানার মালিক পুরোদমে চালাচ্ছেন উৎপাদন ও বিপনন কার্যক্রম।

জেলা নাগরিক নেতারা বলেন, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরিকৃত এ আইসক্রিম শিশু স্বাস্থের জন্য মারাত্বক হুমকি। এসব আইসক্রিম খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও শিশুদের দেহে টাইফয়েডের সম্ভাবনা থাকে। এতে সোডিয়াম সাইক্লোমেড নামক ঘনচিনি ব্যবহৃত হয় যা খেলে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এরকম অবৈধ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠতে পারে। আমরা শিগগিরই এ ধরনের কারখানার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আপন দেশ/এইউ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়