ফাইল ছবি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফের) গুলিতে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছে। ওই রাখালের মরদেহ তার সহযোগীরা ভারত সীমান্তের ভেতর থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। নিহতের নাম নুরুল ইসলাম (৬০)। তিনি গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি গ্রামের মৃত মইনুদ্দিনের ছেলে।
বুধবার (২৬ জুন) ভোরে উপজেলার ওই গ্রামের ৯১৯ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের সহযোগী, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে ৪/৫ জন বাংলাদেশি ভারতীয় গরু আনতে মালগারা সীমান্তে যায়। এ সময় বিএসএফের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান নুরুল ইসলাম। তার সঙ্গীরা মরদেহ নিয়ে দেশে ফেরেন। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা ওসি ইমতিয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ নিহত নুরুল ইসলামের মরদেহ থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মরদেহ লালমনিরহাটে পাঠানো হবে। এ ঘটনার প্রতিবাদসহ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন>> লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। এ ঘটনায় ব্যাটলিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৫ জুন পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউসুফ আলী (২৫) নিহত হন। তিনি পাটগ্রাম উপজেলার মেসের ডাঙ্গা গ্রামের শাহা জামালের ছেলে। সীমান্ত দিয়ে গরু পারাপারের সময় বিএসএফ ১৬৯ব্যাটালিয়নের মীররাপা ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা গুলি ছুড় তার মৃত্যু হয়।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।