প্রতীকী ছবি
রেখা আক্তার গোসল শেষে কাপড় বদলাচ্ছিল। এ সময় মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যায় শাহাদাত। জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তারই স্যালোয়ার কামিজ গলায় পেচিয়ে হত্যা করেছে। শাহাদাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেখা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হোগলাকান্দী সদরদি গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে।
সোমবার (১ জুলাই) ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান।
শুক্রবার (২৮ জুন) রেখা আক্তারের বিবস্ত্র মরদেহ হোগলাকান্দী সদরদি গ্রামের পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার একদিন পর ভাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ মাঠে নামে রহস্য উদঘাটন করে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায় রেখা। গোসল শেষে কাপড় বদলানোর সময় প্রতিবেশী চাচাতো ভাই শাহাদাত সেখানে যান। তিনি মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে ফুঁসলিয়ে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যান। পরে সেখানে অশ্লীল ছবি দেখিয়ে রেখাকে ধর্ষণ করেন। রেখা একথা তার বাবাকে বলে দেবেন বলে জানালে ক্ষিপ্ত হয় শাহাদাত। পরনের স্যালোয়ার কামিজ গলায় দিয়ে পেঁচিয়ে রেখাকে হত্যা করে। বিকেলে পাটক্ষেতে থেকে রেখার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, সোর্সের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় রেখার পরনের স্যালোয়ার কামিজ, পরনের ওড়না এবং শাহাদাতের একটি স্মার্টফোন, একটি জার্সি ও হাফ প্যান্ট। শাহাদাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।