ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টি উপেক্ষা করে মহাসড়কে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা। তারা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে তারা একত্রিত হয়। পরে মেন গেট সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয় এবং মিছিল করে।
সরকারি চাকরিতে কোটা-ব্যবস্থা বাতিলসহ ২০১৮ সালে জারি করা বিজ্ঞপ্তি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন আন্দলনকারীরা।
শিক্ষার্থীরা চার দাবি নিয়ে কথা বলেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে; কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শুন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। উল্লেখ্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন<<>>মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকছে চাকরিতে
শিক্ষার্থী নাজনিন ফাতেমা বলেন, আমরা চাই না কোটায় কেউ একটা যোগ্যতাসম্পন্ন জায়গায় যাক। এ জায়গায় যাওয়ার অধিকার শুধু মেধাবীদের। আমরা চাই মেধার যথাযথ ব্যাবহার হোক। তবে পিছিয়ে পড়া জনগণ অর্থাৎ প্রতিবন্ধীদের ব্যাপার আলাদা। তারা কোটার যোগ্য। মুক্তিযোদ্ধারা তো আর পিছিয়ে পড়া জনগণ নয়। আমরা চাই এ কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি উঠে যাক।
শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম বলেন, কোটার মতো একটি চরম বৈষম্য আমাদের ওপর পুনরায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বৈষম্য আমরা মানব না। স্বাধীন দেশে বৈষম্যের শিকার হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বৈষম্যের শিকারই যদি হব, তাহলে যারা আজ বৈষম্য তৈরি করছে তাদের পিতারাই কেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন? ৫৬ শতাংশ কোটা থাকলে মেধাবীদের রিকশা চালানো ছাড়া উপায় থাকবে না। সরকার তাহলে আমাদের রিকশা কিনে দিক, নয়তো কোটা সংস্কার করুক। কোটা সংস্কার না করে আমরা ঘরে ফিরব না।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
