ফাইল ছবি
সিলেটজুড়ে বন্যার পরিস্থিতি এখনো অস্বাভাবিক। এ জেলায় চালের দামের পর ৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত ১০ দিনে পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন কেজিতে ১২০ টাকায় ঠেকেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বন্যার অজুহাত দেখাচ্ছে।
স্থানীয় পাইকারী বাজার কালিঘাটেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে, সিলেট শহর তথা গ্রাম গঞ্জে পড়েছে অস্থিরতার ছোঁয়া।
তবে আমদানীকারকরা বলছেন, ভারতের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে আমদানির জন্য খোলা হয়েছে ঋণপত্র (এলসি)। এ মাসের শেষ নাগাদ আমদানি করা পেঁয়াজ ঢুকতে পারে বাজারে। তখন দাম অনেকটাই কমে যাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে বাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে ইতিবাচক কোনো ইঙ্গিত নেই। বরং একে অন্যকে কথা বলার পরামর্শ ও কেউ ছুঁটিতে আছেন বলে এড়িয়ে যান।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের তথ্য বলছে, উৎপাদনসহ অন্য খরচ হিসাব করে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের যৌক্তিক দর ৬৫ টাকা হওয়ার কথা। তবে সংস্থাটিরই তথ্য, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) খুচরায় পেঁয়াজের দাম ছিল ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। তবে বাজারের প্রকৃত চিত্র ভিন্ন।
রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর বন্দরবাজার, মিরাবাজার, সুবিধবাজার,আম্বরখানা, কদমতলি, উপশহর, চৌহাট্টাসহ কয়েকটি বাজারে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর দেশি হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লায় ১২০ টাকার কমে মিলছে না পেঁয়াজ।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার অনুযায়ী, সিলেটের বাজারে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। টিসিবি বলছে, এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দাম ২৭ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দর ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে আরও বেশি। এক বছরে দেশি পেঁয়াজের ৪০ ও আমদানি করা পেঁয়াজের ১৩৩ শতাংশ দর বেড়েছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।