ছবি: সংগৃহীত
নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ জুলাই) ভোরে আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- নলবাটা এলাকার নাছির উদ্দিন (৬৫), সালমান মিয়া (১১), আলী হোসেন (৬৫) ও শফিকুল ইসলাম (৫০)।
তাঁদের মধ্যে সালমান গুলিবিদ্ধ, নাছির ও আলী হোসেন টেঁটাবিদ্ধ এবং শফিকুলকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বেনজির আহমেদ ও রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। রফিকুল গত নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এ দুজনের মধ্য বিরোধ চলে আসছিল। তিন মাস আগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এর পর থেকে রফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা এলাকাছাড়া ছিলেন। আজ ভোরে তাঁরা এলাকায় ফিরছিলেন।
আজ ভোরে রফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় ইউপি সদস্য বেনজির আহমেদের সমর্থকেরা প্রতিহত করতে এগিয়ে যান। দুই পক্ষের সমর্থকেরা একের পর এক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। একপর্যায়ে তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তাঁদের ছোড়া গুলি ও টেঁটায় উভয় পক্ষের তিনজন বিদ্ধ হন।
এছাড়া একজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের অন্তত চারটি বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জানান, আলী নামের একজনকে গলায় ও হাঁটুতে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়েছেন। সহিংসতা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষের অভিযোগ পাননি জানান তিনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।