ছবি: আপন দেশ
কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গিয়াস উদ্দিন ও জামাল হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হ্ত্যা করে দন্ডপ্রাপ্তরা। জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরীতে ২০১৬ সালে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৫ জুলাই) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ হত্যামামলার রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেন আদালত।
কুমিল্লা আদালতের সরকারি কৌসুলী মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসামি পক্ষের লোকজন গিয়াসউদ্দিন ও জামাল হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। ২০১৬ সালে ১২ আগস্ট রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরি এলাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান ১২ জনের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ জনের কথা উল্লেখ করা হয়।
২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারকার্যে আসামিদের জবানবন্দি এবং ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ তোতা, কামাল হোসেন, মো. মামুন, আলমগীর হোসেন, বাবুল ও হারুনুর রশিদ।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হায়দার আলী, আবদুল মান্নান, জামাল হোসেন, আবুল বাশার, জাকির হোসেন, আবদুল কাদের, আবদুল কুদ্দুস।
মামলার বাদী হত্যাকাণ্ডের শিকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, আদালতের এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত রায় কার্যকর করারও দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় রায় ঘোষণা শেষে গ্রেপ্তার আসামিদেরকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামিদের স্বজনরা।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।