ছবি: সংগৃহীত
পিরোজপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ৫৪ হাজার ২৩ হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯ মেট্রিক টন।
জেলার ৭ উপজেলার ৫৪ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভার বোরো চাষে ২৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৩শত ৩৬ মেট্রিক টন। একইভাবে গম ১০০ হেক্টরে ৩০০ মেট্রিক টন। ভুট্টা ৬৫০ হেক্টরে ৫ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন, আলু ১০০০ হেক্টরে ২০ হাজার ১১০ মেট্রিক টন। মিষ্টি আলু ৩০০ হেক্টরে ৬ হাজার মেট্রিক টন, মসুর ১৯২হেক্টরে ২২৩ মেট্রিক টন। আখ ২৫০ হেক্টরে ১০ হাজার মেট্রিক টন, ছোলা ৩ হেক্টরে ২ মেট্রিক টন, পেঁয়াজ ১০০ হেক্টরে ৮৫০ মেট্রিক টন, রসুন ৮০ হেক্টরে ৬০০ মেট্রিক টন, ধনিয়া ২০০ হেক্টরে ৩০৪ মেট্রিক টন।
সূর্যমূখী ৪৫০ হেক্টরে ৯০০ মেট্রিক টন, বিভিন্ন ধরনের সবজি ৫৫৭০ হেক্টরে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। মরিচ ৫৫০ হেক্টরে ৮৩৬ মেট্রিক টন, তিল ১৪ হেক্টরে ১৪ মেট্রিক টন। সরিষা ৩০০ হেক্টরে ৩৬৬ মেট্রিক টন, মুগ ৬০০০ হেক্টরে ৭ হাজার ৮ শত মেট্রিক টন, খেসারী ১১ হাজার হেক্টরে ১৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন, চিনাবাদাম ১০০ হেক্টরে ১৯১ মেট্রিক টন । ফেলন ৭ হেক্টরে ৭ মেট্রিক টন, তরমুজ ১০৬ হেক্টরে ৩৭১০ মেট্রিক টন চাষের ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ জেলায় রবিশস্য চাষের এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করছে। এছাড়া সব ধরনের সার, বীজ এবং কীটনাশক এখন একেবারেই সহজলভ্য হওয়ায় কৃষি জাতীয় পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপন দেশ ডটকম/ এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।