ছবি: আপন দেশ
পাবনায় কারফিউ ভেঙে শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ১২টার দিকে পাবনা জেলা আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এর নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম।
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুকে। এতে কারফিউ অমান্যে সমালোচনা উঠেছে। তবে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেই এসব করা হয়েছে বলে দাবি ছাত্রলীগের।
এ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমান্তের নেতৃত্বে অংশ নেন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস অন্তু। সাধারণ সম্পাদক আরাফাত ইসলাম আকাশসহ ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী। এসময় শোক দিবসের স্লোগানও দেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা আগস্টের প্রথম প্রহরে কর্মসূচি পালন করেছি। আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে কোনো হট্টগোল ছাড়া মোমবাতি প্রজ্বলন করেছি। এটি তেমন কোনো বিষয় নয়। তাছাড়া মৌখিকভাবে পুলিশকে অবহিত করেই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়া কেবল পুলিশকে অবহিত করে কারফিউয়ে সমাবেশ করা যায় কি না জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এ ছাত্রলীগ নেতা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট পালনে মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ সকল কর্মসূচি সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারফিউ মেনে পালন করার জন্য সকল ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে জরুরি অবস্থায় কারফিউ জারি করে সরকার। পরে শিথিল করে জেলা ভিত্তিক কারফিউ জারির দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা প্রশাসককে। এক্ষেত্রে পুলিশের এ বিষয়ে অনুমতি দেবার সুযোগ নেই বলে জানান নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসনের কারফিউ আদেশ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি পাবনায় রাত ১০টা থেকে সকাল ৫ পর্যন্ত কারফিউ জারি রয়েছে। এদিনও (৩১ জুলাই) একই আদেশ জারি ছিল।
কারফিউ আইন বলছে, বাংলাদেশে বিশেষ ক্ষমতা আইন; ১৯৭৪ সালের ২৪ ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার সরকারের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে আদেশ জারির মাধ্যমে নির্দেশ করতে পারেন। যেকোনও বিশেষ লিখিত অনুমতি ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এ আইন লঙ্ঘন করলে ১ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানান তার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।