ছবি: আপন দেশ
পাবনার বেড়া সিএন্ডবি বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার এড. শামসুল হক টুকু ও তার পুত্র আসিফ শামস রঞ্জন। এতে মহাসড়কে যানজট বাড়ার পাশাপাশি ভোগান্তি বেড়েছে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের। দল ক্ষমতায় থাকায় তাদের দাপটে কেউ কিছু না বললেও শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তাদের এ অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে স্থানীয়রা।
সম্প্রতি এ জায়গা দখলমুক্ত করতে পাবনা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে বেড়া সিএন্ডবি বাজার ইজারাদাররা।
জেলা প্রশাসককে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পাশে বেড়া সিএন্ডবি বাজার এলাকায় এক সময় পুরাতন একটি ইটভাটা ছিল। যেটি অধিগ্রহণ সূত্রে বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। এর পাশে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের বাজার রয়েছে। যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়া পৌরসভা থেকে ৪ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার টাকায় ইজারাপ্রাপ্ত হন মিজানুর রহমান ও ইদ্রিস আলী সর্দার।
এ বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশের মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এর ফলে বাজার ঘেঁষা সড়ক বিভাগের সম্মতি নিয়ে অব্যবহৃত নীচু জায়গা ভরাট করে বাজারে আসা ভ্যান, রিকশা, অটোরিকশা ও সড়কে চলাচলকারী সিএনজিসহ বিভিন্ন যান পার্কিং উপযোগী করে বাজার পক্ষ। তবে, কিছুদিন পর ক্ষমতার দাপটে জায়গাটি দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলেন পাবনা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ও তার পুত্র সাবেক বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন।
এতে, মহাসড়কে তীব্র যানজট বেড়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রী ও বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের। এক্ষেত্রে দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটিকে দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে মহাসড়কে যানজট বেড়েছে, বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদেরও ভোগান্তি বেড়েছে একই হারে। বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের দাবি, এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটিকে দখলমুক্ত করলে ভোগান্তি কমবে যাত্রী ও বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের।
বাজারে আসা আব্দুল লতিফ মালিথা, রানা ও হালিম সহ কয়েকজনের সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়। তারা জানান, সরকারি জায়গা জনগণের সুবিধায় ব্যবহার করার কথা থাকলেও সাবেক এমপি ও তার পুত্র দখল করে রেখেছেন। দ্রুত এটি অপসারণ করে দখলমুক্ত করা হোক।
এ ব্যাপারে বাজার ইজারাদার মিজানুর রহমান ও ইদ্রিস আলী সর্দার বলেন, প্রথমে ডেপুটি স্পিকার ও তার পুত্র দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে (সরকার পতন) তারা পলাতক ও গ্রেফতার থাকায় এখন নতুন করে বিভিন্ন দখলদারি মহল এ জায়গাটিসহ অন্যান্য জায়গাও দখলের চেষ্টা করছে। জনস্বার্থে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়া পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েক দিন হল বেড়ায় যোগদান করেছি। অভিযোগ এর বিষয়ে ঠিক বলতে পারছি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।