ছবি-সংগৃহীত
ভোলার চরফ্যাশনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে যুবদলের অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার দিকে চরফ্যাশন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় নাজিমউদ্দিন আলমের বাসভবনও ভাঙচুর করা হয়। আহত নেতাকর্মীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন অভিযোগ করেন, হামলার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন বলেন, যুবদল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এতে পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে চরফ্যাশন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের বাসভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় সেখানে একটি আলোচনা সভা হয়। সভা শেষে নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হলে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান।
তবে অভিযোগ অসত্য দাবি করেছেন মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা শহরে ছিলাম এটা সত্য, কিন্তু আমাদের কমিটি গঠন নিয়ে জরুরি সভা করতে হয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য দেওয়া হয়। শুনেছি, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম পক্ষ ও নয়ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তারা দুই পক্ষই বিএনপি। এখানে যুবলীগের কোনো ভূমিকা নেই।’
উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের কাছ থেকে সব ধরনের অনুমতি নিয়েই আমরা ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠানটি করছিলাম। অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে পালিত হলেও উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন থেকে আসা নেতা-কর্মীরা যখন নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন, তখন যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে-পিটিয়ে তাঁদের আহত করে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেনÑ উপজেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক মিলন নক্তি, যুবদল নেতা ফজলে রাব্বি, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহির উদ্দিন, যুবদল নেতা সৈকত মালতিয়া, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সোহেল খান, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ, ওমরপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা বেল্লাল মোস্তসন, আছলামপুর যুবদলের সাংগঠনিক জাকির, মনপুরা উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি মেহেদী ফরাজি, নুরাবাদ যুবদলের নেতা বাবুল পাটওয়ারী, আমিনাবাদ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক উল্লাহ। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত বাকিদের নাম জানা যায়নি। তাঁরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন।
আপন দেশ ডটকম/কেএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।