এমদাদুল হক
বাথরুমের কথা বলে পালানো সেই শিক্ষাক আজও ফেরেনি। ১৩ দিন যাবত পলাতক রয়েছেন। তিনি গাজীপুরের টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) এমদাদুল হক। সম্প্রতি ছাত্রীদের সঙ্গে তার কুরুচিপূর্ণ কথোপকথনের সোয়া এক ঘণ্টার একটি রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ বিষয়ে ওই অধ্যাপকের পদত্যাগ দাবি করলে তিনি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ। এতে পাঠদানে চরম বিঘ্ন ঘটায় শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে স্কুল কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের সহকারী অধ্যাপক এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, দুর্ব্যবহার ও কুরুচিপূর্ণ কথোপকথনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব খবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাদের কাছে পৌঁছায়। তারা গত ১৭ সেপ্টেম্বর কলেজে এসে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় তিনি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে কলেজ থেকে সটকে পড়েন। এরপর থেকে অদ্যাবধি তিনি আর কলেজে আসেননি। বারবার ফোন করার পরও তিনি তার মোবাইল ফোন রিসিভ করছেন না।
গত ২২ সেপ্টেম্বর) পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়ে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, সহকারী অধ্যাপক এমদাদুল হক কয়েক দিন যাবত কলেজে অনুপস্থিত। এতে পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি কারণ দর্শানো নোটিসের জবাবও দেয়নি। নতুন করে শিক্ষকও নেয়া হয়নি।
এমদাদুল হকের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তাই তার বক্তব্য প্রকাশ করা যায়নি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।