ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম এখন পানির তলায়। এতে মৎস্য ও কৃষি খাতে প্রায় ৬১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় ও মৎস্য অধিদফতর।
বেতনা নদীর বাঁধ ভেঙে এবং অতিবৃষ্টির ফলে গত ১৫ দিন ধরে এ এলাকায় মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১২ দিনের চেষ্টা করে বিনেরপোতা এলাকায় বাঁধ মেরামত করা গেলেও, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার বীনেরপোতা এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে যায়। ফলে তালার সুভাষিণী গ্রামের সব চিংড়ি ঘের ও কৃষিক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে। শুধু এ গ্রাম নয়, সদরসহ দুই উপজেলার ১০ ইউনিয়নের অবস্থা প্রায় একই।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ৫ হাজার ৪৫২ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন, আউশ ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির ক্ষেত। ছয় হাজার মৎস্য ঘের এবং দেড় হাজার পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। ফলে কৃষক ও চাষিরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
স্থানীয় চিংড়ি চাষি আবুল কালাম বলেন, আমার পাঁচটি চিংড়ি ঘের পুরোপুরি ভেসে গেছে। অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে এসব ঘের করেছিলাম। ঋণ করে ঘের করেছিলাম। এখন ঋণ কী করে পরিশোধ করবো, জানি না।
অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা বলেন, ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই নদীতে খনন প্রকল্প চলছে। আগামী জুনে এর কাজ শেষ হবে। আশা করি, তখন জলাবদ্ধতা থাকবে না।
এদিকে ২৫ হাজারেরও বেশি পরিবার বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।