ফাইল ছবি
গত ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে ইসলামি সঙ্গীত গাওয়ার ঘটনা ঘঠে। এ ঘটনার পর থেকে খোঁজ মেলেনি পূজা কমিটির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের। এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে এ নেতাসহ মামলার আরও ৪ আসামি।
পূজামণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইসলামি সঙ্গীত গাওয়ার ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ঘটনায় পূজা আয়োজক কমিটির এক সদস্য এ মামলা করেন। এতে পূজা কমিটির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত ও চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ৬ গায়ককে আসামি করা হয়। এরই মধ্যে দুই গায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, পূজা কমিটির নেতা সজল দত্তের আমন্ত্রণেই পূজার মঞ্চে গান পরিবেশন করে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য। সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল তার। তবে ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। খোঁজ মিলছে না গান গাওয়া বাকি চার ব্যক্তিরও। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সনাতন ধর্মের নেতাদেরও।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, শুধু দুজনকে গ্রেফতার করলেই হবে না। সজল দত্তসহ বাকিদেরও গ্রেফতার করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র রইছ উদ্দিন বলেন, পূজা উদযাপন কমিটির নেতা সজল দত্তের আমন্ত্রণেই সেখানে ওই ছয়জন গান পরিবেশন করে। যদিও এখনো তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের অসৎ কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীতে এবার ২৯২টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। জেএম সেন হল পূজামণ্ডপের বিতর্কিত ঘটনার পর পূজার উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে নগরীর কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।