Apan Desh | আপন দেশ

শিক্ষকতা ছেড়ে সফল কফি চাষী হলেন ছানোয়ার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৪৭, ২০ অক্টোবর ২০২৪

শিক্ষকতা ছেড়ে সফল কফি চাষী হলেন ছানোয়ার

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মো. ছানোয়ার হোসেন (৫০) শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে কৃষক হিসেবে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি কলা, আনারস, ভূট্টা, পেঁপে, ড্রাগন ফল ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করেন। এবার কফি চাষেও সফল হয়েছেন ছানোয়ার। প্রতি বছর প্রায় ১ টন কফি উৎপাদন করেন তিনি।

ছানোয়ারের বাগানে কফিসহ ১০ ধরনের ফল উৎপাদিত হচ্ছে। নিরাপদ ফল উৎপাদনে তিনি এলাকার মানুষের কাছে আদর্শ চাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। অনেকেই তার কফি বাগান দেখতে এবং চাষাবাদের পরামর্শ নিতে আসেন।

তিনি সফল কৃষক হিসেবে রাষ্ট্রীয় বঙ্গবন্ধু কৃষি স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন। মধুপুর গড়ের উঁচু ও লাল মাটিতে কফি চাষের সম্ভাবনা দেখিয়ে তিনি কৃষি বিভাগের কাজ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগও কফি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কফির চারা বিতরণ করছে।

ছানোয়ার হোসেন ১৯৮৮ সালে এস.এস.সি, ১৯৯০ সালে এইচ.এস.সি এবং ১৯৯২ সালে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৩-৯৮ সালে শিক্ষকতা করেন এবং পরে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেন।

২০১৭ সালে প্রথম কফি চাষ শুরু করে তিনি বর্তমানে ৫০ শতাংশ জমিতে কফির আবাদ করছেন। ২০১৭ সালে ২০০ কফির চারা সংগ্রহ করেন এবং চাষ শুরুর দুই বছর পর কফি বিক্রি করতে সক্ষম হন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৫০০ কফি গাছ থেকে ফলন হচ্ছে। গত সাত বছরে কফি বাগান বাবদ তিন লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তবে আমি প্রায় দ্বিগুণ আয় করতে পেরেছি।

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, কাজুবাদাম এবং কফি গবেষণা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২০ জন কৃষক ৩৫ হেক্টর জমিতে কফি চাষ শুরু করেছেন। কফি উৎপাদনে সঠিক আবহাওয়া এবং মাটি উপযোগী হওয়ায় মধুপুরে কফির সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

শাকুরা নাম্নী মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এখানে অ্যারাবিক ও রোবাস্টা জাতের কফি চাষ হচ্ছে। কৃষক ছানোয়ার হোসেন কফি চাষে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।

ছানোয়ার হোসেনের উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের কফি চাষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়