ফাইল ছবি
কুমিল্লার চিকিৎসক ডা. মো. ফজলুর রহমান মজুমদার। তিনি ১০ বছর ধরে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলার শিকার ছিলেন। ২৩ অক্টোবর সে মামলায় আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এ দীর্ঘ সময়ে তিনি বিভিন্ন প্রকার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানকালে তাকে আটক করা হয়। তখন তিনি সদর দক্ষিণ কুমিল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছিলেন। সিভিল সার্জন হওয়ার জন্য প্যানেলভুক্ত ছিলেন। সরকারি কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিনা কারণে তাকে হসপিটালের নিচে নিয়ে গিয়ে সারারাত ধরে ডিবি কার্যালয়ে মানসিক নির্যাতন করে। পরদিন ২৯ জানুয়ারি তাকে প্রধান আসামি করে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। যেখানে আরও ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
ডা. ফজলুর রহমানের পাশাপাশি ওই মামলায় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক নুর উদ্দিন আহম্মেদ, ডা. জহিরুল আলম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. উৎখাতুল বারি আবু, জামায়াত নেতা মাস্টার আমিনুল ইসলাম ও কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ ঘটনার পর ডা. ফজলুর রহমানকে সাময়িকভাবে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ সময় তিনি আইনগত, সামাজিক ও পারিবারিক সংকটের মুখে পড়েন।
দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর ১০ বছরের পর আদালত সকল আসামিকে অব্যাহতি প্রদান করে।
কুমিল্লার চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, ডা. ফজলুর রহমানের সরকারি সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেয়া হোক। তারা আশা করেছেন, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
১০ বছরের প্রতীক্ষার পর ডা. ফজলুর রহমান আবারও তার পেশায় ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। কুমিল্লার জনগণ এবং চিকিৎসক সমাজ এ ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।