Apan Desh | আপন দেশ

সিলেটে বেপরোয়া ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ৬ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৮:১৮, ৬ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটে বেপরোয়া ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক

ছবি: আপন দেশ

সিলেট নগরীতে বেড়েছে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের চলাচল। যদিও নগরীতে ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ। তবুও শহরতলীর বিভিন্ন অলিগলিতে ইজিবাইকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে কানিশাইল, সুবিদবাজার, কলাপাড়া, চৌখিদেখী, কদমতলী, টিলাগড়, সিলেট-তামাবিল সড়কসহ কিছু এলাকায় অবাধে চলছে এসব বাহন।

এছাড়া অনেক জায়গায় ইজিবাইক চালকরা নিজেদের স্ট্যান্ডও তৈরি করেছেন। ফলে নগরীর যানবাহনের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করছে। একদিকে যেখানে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া অনেক বেশি। অন্যদিকে ইজিবাইক কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহণ করছে। এ নিয়ে অনেককে ইজিবাইকে চলাচল করতে উদ্বুদ্ধ করছে। এতে করে ইজিবাইক চলাচল বাড়ছে। বিশেষ করে দুর্ঘটনা প্রবণ সড়কগুলোতে।

সড়কে এসব যানবাহনের অবাধ চলাচল দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা না মেনে ইজিবাইকের চালকরা সড়কে যাত্রী পরিবহণ করে। এতে সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। নিয়মিত এসব বাহন দুর্ঘটনায় পড়ছে। ফলে জানমালের ক্ষতি ও সড়কের শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

ট্র্যাফিক পুলিশের অভিযান-
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্র্যাফিক) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, আমরা ইজিবাইকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। নগরের প্রধান সড়কে ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও চলাচল করলে আমরা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করছি।

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের মেজরটিলা ও শাহপরান এলাকায় বেআইনি ইজিবাইক স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। যা সড়ক নিরাপত্তা ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ইজিবাইক যাত্রী পরিবহণ করছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ স্ট্যান্ডগুলো সড়কে যানজট সৃষ্টি করছে। সাধারণ জনগণের চলাচলকে দুর্বিষহ করে তুলছে।

স্থানীয়দের মতে, ইজিবাইকগুলো যত্রতত্র থেমে যাত্রী ওঠানামার কাজ করে। সে কারণে সড়কে দীর্ঘ সময়ের জন্য যানজট সৃষ্টি করে। বিশেষ করে মেজরটিলা, শাহপরান ও বটেশ্বর এলাকায় যানবাহনের জন্য চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। ইজিবাইক চালকরা নিয়ম না মেনে প্রায়ই রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছেন। যা সড়কে অস্বস্তি তৈরি করছে।

অনুমোদনহীন ইজিবাইক ও অদক্ষ চালকরা-
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে চলাচলকারী বেশিরভাগ ইজিবাইক অনুমোদনহীন। চালকদের নেই অধিকাংশেরই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাদের অধিকাংশই ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন নন। বিধিমালা মেনে গাড়ি চালাচ্ছেন না। এর ফলে দ্রুতগামী অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঝুঁকি থাকে। যার ফলে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

অদক্ষ চালকদের কারণে ইজিবাইক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। প্রশিক্ষণ ছাড়া ইজিবাইক চালানো সড়কে চলাচলকারী অন্য যাত্রীদের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছে। পুলিশ বা প্রশাসনের তরফ থেকে যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হয়। তবে এ সড়কটি আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

চাঁদা আদায়-
এদিকে ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পরও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এ স্ট্যান্ডগুলো এলাকাভিত্তিক মাসিক চাঁদার বিনিময়ে পরিচালিত হয়। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও তা স্থায়ী কোনো সমাধান আনতে পারছে না। 

স্থানীয়রা বলছেন প্রশাসন যদি সঠিকভাবে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্ট্যান্ড বন্ধ না করে তাহলে সড়ক নিরাপত্তা আরো বিপন্ন হবে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার হার বাড়বে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়