ছবি: আপন দেশ
আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন রেলসেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জনান, কিছু জটিলতার কারণে সেতু চালু হওয়ার সময় বিলম্ব হতে পারে। তবে জানায়ারির মধ্যে কার্যক্রম চালু হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
জানা যায়, ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতু চালু করা সম্ভব হবে। তবে সেতুর সিগন্যালিং সিস্টেম ও প্রযুক্তি সরঞ্জাম আমদানির জটিলতার কারণে কিছুটা দেরি হতে পারে। সেতুর উভয় পাশে কম্পিউটারভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা (CBIS) এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে ট্রেনের গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ সিস্টেম চালু হওয়ার আগে ট্রেনের গতি কম থাকবে। একই সঙ্গে শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকবে।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানায়, সিবিআইএস চালু হওয়ার পর ট্রেনের গতি ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছাবে। তবে এখনো সিগন্যালিং সিস্টেমের কাজ ৪০-৪২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পুরোপুরি সিস্টেম চালু হবে। এর আগে প্রথাগত নন-ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম ব্যবহার করে ট্রেন চলবে।
রেলসেতু চালু হলে যমুনা নদীর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল আরও দ্রুত ও সুষ্ঠু হবে। ফলে একঘণ্টা পর্যন্ত সময় বাঁচবে। ক্রসিংয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। নতুন সেতু দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৮৮ ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যা যাত্রী সেবায় উন্নতি এনে দেবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, সেতুর নির্মাণকাজ অনেকটাই এগিয়েছে। সেতুর উপর রেললাইন বসানো, স্টেশন ভবন, প্ল্যাটফর্ম শেড, পার্কিং এরিয়া ও অন্যান্য নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তবে কিছু কারিগরি কাজ বাকি আছে।
রেল কর্তৃপক্ষের ধারণা, সিবিআইএস চালু হওয়ার পরই ট্রেনের গতি বাড়ানো সম্ভব হবে। পুরো প্রকল্পের সুবিধা পূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।