Apan Desh | আপন দেশ

বিক্ষোভের মুখে গাজীপুরে ৩০ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বিক্ষোভের মুখে গাজীপুরে ৩০ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা

বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা। তাদের দাবি, একাধিকবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সে কথা রাখেনি। 

তাই বেতন ছাড়া মহাসড়ক ছাড়তে চান না তারা। এমন পরিস্থিতিতে এই এলাকার ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা গতকাল সকাল ৯টা থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতনের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে অবস্থান করছেন। তাদের একটাই কথা, বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা হাইওয়ে ছাড়বে না।

সারোয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনসহ মালিককের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সর্বশেষ তাদের (শ্রমিকদের) বেতন পরিশোধ করার কথা বলা হয়। মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু উনারা বারবার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন, যে কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা আর বিশ্বাস করে না।

পুলিশ সুপার বলেন, আমরা কোন মুখে ওদেরকে (শ্রমিকদের) বলব, তোমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করো, তোমাদের একটা ব্যবস্থা আমরা করে দেব। শ্রমিকদের মতো মালিকের প্রতি আমাদেরও আস্থা নেই। যে কারণে ওরা গতকাল থেকে বসে আছে। আমরা তাদের একাধিকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমাদের অফিসে এসে বসো, অবস্থান নাও। কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা, মহাসড়ক ছাড়বে না। এটাকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায়ও ওদেরকে বোঝানো হয়েছে, রাতেও চেষ্টা করেছিলাম ওরা যায়নি। আজকে তারা আছে। এই ধারাবাহিকতায় টিএনজেড গ্রুপ, কলম্বিয়া, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তার দিকে ৩০টি কারখানা ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকতে পারছে না।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা আবারও চেষ্টা করতেছি। একটু আগে সেনাবাহিনী এসেছিল, আমরাসহ কথা বলেছি। আশা করি এটার সমাধান হবে। এটা নিয়ে আমাদের সিনিয়ররা আছেন, বিজিএমইএ, শ্রম অধিদপ্তর কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের দুজন মালিক। বর্তমানে একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যিনি দেশে আছেন তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন। যেখানে এক্সপোর্ট বিকল্প আপ ফান্ড আছে। এখানে তার কিছু টাকা আছে। তিনি চাচ্ছেন এই টাকা যদি তাকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, ১১-১২ কোটি টাকার মতো তাহলে ওনি এই দুই মাসের বেতনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। জরুরি মুহূর্তে ১১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকার দরকার বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন।

আপনে দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়