সকালবেলা কুয়াশা।
সিলেটে অগ্রহায়ণ মাসে শীতের অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে শীতের আগমন ঘটে। তবে এ বছর হেমন্তের মধ্যে গরমের দাপট ছিল অনেক বেশি। এখন,অগ্রহায়ণের শীতের আমেজ ধীরে ধীরে বাড়ছে। গ্রামাঞ্চলে সকালবেলা কুয়াশা এবং নগরীতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে সকালে ও বিকেলে হালকা শীত-বাতাস বইছে। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শীতের অনুভূতি দেশজুড়ে বাড়বে।
সিলেটের সীমান্ত এলাকায় অগ্রহায়ণ মাসে শীত শুরু হয়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল আর সন্ধ্যায় শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ১৮ নভেম্বর সকাল ৬ টায় সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
শীতের আগমনে সিলেটে গরম কাপড়ের ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। ফুটপাত থেকে অভিজাত শপিংমল পর্যন্ত দোকানিরা শীতের কাপড় বিক্রি করছে। সস্তায় শীতের কাপড় কিনতে নগরীর বিভিন্ন বাজারে ভিড় করছেন মানুষ। বিশেষ করে পাইকারি বাজারগুলোতেও শীতের কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। এছাড়া মৌসুমি হকাররাও তাদের ব্যবসা শুরু করেছেন। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে শীতের কাপড় সাজিয়ে বসেছেন তারা।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা যেমন বন্দর বাজার, কিন ব্রিজ, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবী বাজার, আম্বরখানা, মেজরটিলা, শাহী ঈদগাহ, টিলাগরড় পয়েন্টসহ আরও অনেক এলাকায় হকাররা নানা ধরনের শীতের কাপড় সাজিয়ে বসেছেন। সেখানে সস্তায় বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। যা কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ভিড় করছে।
প্রতি বছর শীতের আগমনে নগরীতে মৌসুমি হকারদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। নিয়মিত হকারদের পাশাপাশি নতুন মৌসুমি হকাররাও ইতোমধ্যেই তাদের ব্যবসা শুরু করেছেন। তারা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।