পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে 

হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে বাড়তে শুরু করেছে শীতের পরশ। শীত ঋতুর দোড়গোড়ায় হওয়ায় হেমন্তেই দাপট দেখাচ্ছে শীত। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা চছল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।   

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করেই আলো ছড়িয়ে উঠেছে সূর্য। ঘন কুয়াশা না থাকলেও  হিমশীতল বাতাসে অনুভব হচ্ছে শীত। ঘাসের সবুজ ডগায় শিশির ও মাকড়শার জালে চিকচিক করছে শিশির। শিশির মাড়িয়ে ক্ষেতে ছুটতে দেখা যায় চাষিদের। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষদের কাজে যেতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, পঞ্চগড় উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা নিকটে থাকায় অক্টোবর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। নভেম্বরের শেষের দিকে বাড়তে শুরু করেছে শীতের মাত্রা।  সন্ধ্যার পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শীতের অনুভূতি। রাতভর নিতে হয় কাথা কিংবা পাতলা কম্বল। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই জানুয়ারী পর্যন্ত দাপট থাকে শীতের। শীতের আমেজে যুক্ত হচ্ছে নবান্নের আমেজ। ঘরে ঘরে বিভিন্ন পিঠেপুলি ও শহর-গ্রামের বিভিন্ন হাটবাজারে মিলতে শুরু করেছে শীতকালিন বিভিন্ন পিঠাপুলি।

এদিকে একদিকে শীতের জেলা, আরেকদিকে পর্যটন অঞ্চল এ দুটোই উপভোগ করছেন পর্যটকরা। পর্যটকরা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে শীতের অনুভূতি পেয়ে বলছেন, পঞ্চগড় যে শীতের এলাকা এ সময়টাতেই শীত উপভোগ করতে পারবো ভাবতে পারিনি। পাহাড় দেখতে এসে পাহাড়ের শীতল পরশ অনুভব করতে পারছি। 

রাতে শীত ও দিনে গরম হওয়ায় দুই রকম আবহওয়ার কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা সবাইকে সতর্ক থাকা ও শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে যত্ন নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন। 

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, দিন দিন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোরে কুয়াশায় জড়াচ্ছে প্রকৃতি। রাতে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

আপন দেশ/জেডআই