পঞ্চগড়। ফাইল ছবি
হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে বসছে শীত। হিমকন্যা পঞ্চগড়ে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে শীতের দাপট। রেকর্ড হচ্ছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, আগের থেকে অনেক ঠান্ডা পড়েছে। আমাদের মতো বয়স্কদের জন্য শীত অনেক কষ্টের। দিনের বেলা গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে। রাতে কম্বল কিংবা মোটা কাঁথা নিতে হয়। বিশেষ করে আমাদের উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।
ভোরে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকন শীত অনুভূত হচ্ছে উত্তরের সীমান্ত জনপদে। ভোর থেকেই কর্মব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষকে। দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক, ভ্যান চালকরা কাজে বেরিয়েছে সকাল-সকাল। নবান্নের ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষাণীরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, দুইদিন ধরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৩ ডিগ্রিতে। গতকাল সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা তত কমতে শুরু করবে।
ভ্যান চালক দেলোয়ার, রাজ্জাক ও হান্নান জানান, জীবিকার তাগিদে ভোরেই ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়েছে। আগের থেকে অনেক ঠান্ডা পড়ে গেছে। ঠান্ডার মধ্যে অনেকে ভ্যানে চড়তে চায় না। তবুও বের হয়েছি।
তৌহিদুল, জুয়েল ও আরশেদসহ কয়েকজন দিনমজুর জানান, কয়েকদিন ধরে শীত বেশি মনে হচ্ছে। বিশেষ করে দুইদিন ধরে। সকালে ও সন্ধ্যার পর ঠান্ডা বেশি লাগে। সকালেই কাজে বের হয়েছি। কাজ তো করতে হবে। সংসার আছে। তাই কাজ করতে বের হয়েছি।
আপন দেশ/কেএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।