Apan Desh | আপন দেশ

সবুজে ঘেরা লালমনিরহাটের চরাঞ্চল, স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

সবুজে ঘেরা লালমনিরহাটের চরাঞ্চল, স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা

লালমনির হাটের চরাঞ্চলে কৃষকের স্বপ্নের সবুজ মাঠ।

তিন মাস আগেও নদীতে ছিল অথৈ পানি। কৃষকদের চোখে-মুখে ছিল চিন্তার ছাপ। সে নদীর বুকে জেগে ওঠা ১১ চরে এখন সবুজের বিপ্লব। লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ চিত্র ফুটে উঠেছে।

এ সবুজেই স্বপ্ন দেখছেন জেলার তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি, ধোলাই ও গিদারী নদীর নিকটবর্তী চরাঞ্চলের কৃষক।

কঠোর পরিশ্রম করে চাষ করছেন তামাক, ধান, ভূট্টা ও আলুসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি। আর এসব ফসলের সবুজ রঙে ঢেকে আছে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চল। যতদূর চোখে পড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। দেখে মনে হবে সবুজের চাদরে ঢেকে রাখা কোনো বিছানা। 

গত বন্যায় সম্বল হারানো কৃষি নির্ভর স্থানীয় মানুষদের মনোযোগ এখন চাষাবাদে। প্রাণপণ চেষ্টা করছেন আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে পাবার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনে আশা করছেন তারা।

ঘুরে দাঁড়াতে পরিশ্রম করা এসব কৃষকদের পাশে রয়েছে কৃষি বিভাগ। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রণোদনা।

সরেজমিন লালমনিরহাটের চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ফসল ও সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঘুচিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন সংসারের অভাব অনটন। 

ফসল চাষে সফল হয়েছেন বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের কোদালখাতা গ্রামের কৃষক কমল দেব বর্মণ ও নোহালী গ্রামের কৃষক মো. জহির আলী। কোনো জমি পতিত রাখছেন না বলে জানান তারা।

চর খাটামারী গ্রামের কৃষক এস এম হাসান আলী বলেন, ধান, ভূট্টা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, শসা ও করলা চাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বেশি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। যাতে তারা বেশি লাভবান হতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরেফিন আপন দেশকে জানান, চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে ১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া ভূট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ হাজার হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে ১৫শ’ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করছেন তিনি। এছাড়া জেলায় তামাকেরও বেশ চাষাবাদ হয় বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।  

ড. মো. সাইখুল আরেফিন আরও জানান, গত বন্যায় জেলায় আমন চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে; সেটি খুব বেশি ছিল না। তবে অধিদফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে এবং ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে।

আপন দেশ/পিএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়