Apan Desh | আপন দেশ

শীতের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

ছবি : সংগৃহীত

এখনও শীতকাল আসেনি। হেমন্তের বিদায় বেলায় কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে উত্তরের জনজীবন। ঝিরঝির করে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। দিনের বেশিরভাগ সময় মিলছে না সূর্যের দেখা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় অঞ্চলে শীতের তীব্রতা অন্য জায়গার চেয়ে কিছুটা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সকালে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নওগাঁয় তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টা ও ৯টায় বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজকের দিনের দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তীব্র শীতে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর এই জেলায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। এবছর অক্টোবর মাসে শীতের আমেজ শুরু হলেও নভেম্বরের দিকে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতো। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা কুয়াশা ও হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকলেও হঠাৎ করে ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ঘনকুয়াশার দাপট অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে পথচারী ও জনসাধারণ পড়েন চরম বিপাকে। 

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে শীতের দাপট। হিমালয়ের হিম বাতাসে এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীত অনুভূত না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। সে কারণেই এই অঞ্চলে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা এবং দিনভর হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। তবে সংসার ও পরিবারের চাহিদা মেটাতে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন।

ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

এমন অবস্থায় আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শীত বা ঠান্ডা কিছুটা বেশি অনুভূত হলেও আপাতত আগামী ১০ দিন শৈত্যপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এই কয়দিন দেশের অন্যান্য অঞ্চলে স্বাভাবিক ঠান্ডা অনুভূত হলেও উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নামতে পারে। ফলে এসব অঞ্চলে শীতও বেশি অনুভূত হতে পারে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়