Apan Desh | আপন দেশ

শীতে লেপ-তোশক কারিগরদের ব্যস্ততা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতে লেপ-তোশক কারিগরদের ব্যস্ততা

ছবি : আপন দেশ

এবার নভেম্বর মাস থেকেই দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। ডিসেম্বরে এর তীব্রতা আরও বেড়েছে। শীত নিবারণে বাধ্য হয়ে গরম কাপড় ও লেপ- তোশকের দোকানে ভীর করছে মানুষ। ফলে এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারীগররা।

দেশের শীতপ্রবণ জেলা লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের তুলা দিয়ে ছোট বড় লেপ বা তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারীগররা। দোকানীরা ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন, নিচ্ছেন অর্ডার। কারীগররা তৈরি করছেন বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোশক-জাজিম। 

লালমনিরহাট জেলার শহরের লেপ-তোশক তৈরির ১৪ থেকে ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মযজ্ঞ চলছে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। বাজারে সব রকমের জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোশক তৈরির উপকরণের খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি গজ লেপ তৈরির কাপড়ের দাম ৫০-৬০টাকা, তোশকের প্রতি গজ কাপড়ের দাম ৪৫-৫০টাকা এবং প্রতি গজ জাজিম তৈরির কাপড়ের দাম রাখা হচ্ছে ১২০-১৫০টাকা করে। প্রকারভেদে গার্মেন্টস তুলা ৫০ থেকে ১০০টাকা, ফোম তুলা ২০০টাকা, শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৫০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি জুটের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫-৪০টাকা করে। 

এ বছরের প্রায় সব ধরনের তুলার কেজিতে ২০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এ বছর এক পিস রেডিমেট লেপ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে, তোশক বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৭০০টাকার মধ্যে। এছাড়া জাজিম বিক্রি হচ্ছে ২৫০০টাকা থেকে ৪০০০টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বালিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০টাকায়।

লালমনিরহাটের বড়বাড়ী বাজারে লেপ-তোশকের কারীগর শরিফুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপ ও বাড়ছে। এখন রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করেও মহাজনের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। তাই গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি।

কারীগর মাসুদ বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও শীতের আগে ব্যস্ততা বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লেপ-তোশক তৈরির কাজ চলে আমাদের। একটি লেপ তৈরি করলে আকারভেদে ২০০ টাকা থেকে ২৫০টাকা এবং তোশক তৈরি করতে পারলে প্রতিজন ১৫০-৩০০টাকা মজুরি পাই।

ক্রেতা আকবর বলেন, লেপের জন্য দোকানে গিয়ে অর্ডার করেছি ২টি লেপের। এতে মোট খরচ পড়েছে চার হাজার ৪০০টাকা। রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ে। কাঁথা দিয়ে শীত নিবারণ হয় না। তাই সাধ্য অনুয়ায়ী লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।

প্রবীণ কারীগর আমজাদ হোসেন বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের বসে থাকতে হয়। শীতের তিন মাস সিজন, এ সময়ে ব্যস্ততা বেশি থাকে। এবারে আগে ভাগেই মৌসুম চলে এসেছে। লেপ-তোশক তৈরির কাজের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মতো ডেলিভারি দিতে হচ্ছে। একেকজন কারীগর প্রতিদিন গড়ে ৪-৫টি করে লেপ বানাতে পারে। এতে ৫০০-৬৯৯টাকা আয় হয়। বর্তমানে এ আয় দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হয়।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়